, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


এশিয়া কাপে নিরাপত্তা দিবে ৭ হাজার পাকিস্তান আর্মি ও পাঞ্জাব রেঞ্জার্স

  • আপলোড সময় : ২৭-০৮-২০২৩ ১০:২৫:০৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০৮-২০২৩ ১০:২৫:০৪ পূর্বাহ্ন
এশিয়া কাপে নিরাপত্তা দিবে ৭ হাজার পাকিস্তান আর্মি ও পাঞ্জাব রেঞ্জার্স
এবার এশিয়া কাপে নিরাপত্তার ভার উঠেছে পাকিস্তান আর্মি ও পাঞ্জাব রেঞ্জার্সের কাঁধে। আজ ২৭ আগস্ট থেকে জোরদার করা হবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যা বলবৎ থাকবে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ম্যাচ চলাকালীন শহর জুড়ে ৭ হাজারের বেশি নিরাপত্তা কর্মী ছাড়াও স্পেশাল কমান্ডো ফোর্সও থাকবে মাঠের আশপাশে। এবারের আসরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়ার আশ্বাস পাকিস্তান প্রশাসনের।
 
এর আগে গত ৩ মার্চ ২০০৯, পাকিস্তান ক্রিকেট ইতিহাসের একটা কলঙ্কময় দিন। লাহোরে সেদিন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট টিম বাসে হঠাৎ সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানসহ পুরো ক্রিকেট দুনিয়া। সেদিনের ঐ ঘটনার পর থেকে পাকিস্তানে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আন্তর্জাতিক খেলা। এমনকি ২০১১ সালে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হওয়ার সুযোগটাও হারায় তারা। 
 
এদিকে দীর্ঘ ৬ বছর পর ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের মধ্য দিয়ে আবারো পাকিস্তানে চালু হয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ। আর ২০০৮ সালের পর এবার পেলো মহাদেশীয় কোনো ইভেন্ট। তবে  ১৫ বছর পর পাওয়া এই ইভেন্ট নিয়েও জলঘোলা কম হয়নি। নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারত দল কোনোভাবেই পাকিস্তান যাবে না বলে হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপ চালাতে হচ্ছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে।

ভারত না গেলেও পাকিস্তানে যাবে বাকি চার দল। ৩০ আগস্ট মুলতানে নেপাল-পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে হবে ১৬তম আসরের উদ্বোধন। তাই আসর ঘিরে বেশ আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে পিসিবি। পাকিস্তান প্রশাসন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে নিরাপত্তা ইস্যুতে।

সস্প্রতি এশিয়াকাপে পাকিস্তানের সিকিউরিটি ব্যবস্থা কেমন হবে, তা নিয়ে মন্ত্রীসভা থেকে পাওয়া এক সূত্র অনুযায়ী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম। মহাদেশীয় ইভেন্টের নিরাপত্তা ভার উঠেছে পুলিশসহ পাকিস্তান আর্মি ও পাঞ্জাব রেঞ্জার্স ফোর্সের কাঁধে।

পিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘পাঞ্জাব রেঞ্জার্সকে দ্বিতীয় স্তরের কুইক রিয়্যাকশন ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হবে। আর পাকিস্তান সেনা বাহিনী তৃতীয় স্তরের কুইক রিয়্যাকশন ফোর্স হিসেবে থাকবে।’ এশিয়া কাপের মোট ৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানে। প্রথম ম্যাচ হবে মুলতানে আর বাকি তিন ম্যাচের ভেন্যু লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম। বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বের একটি ম্যাচ খেলবে লাহোরে। সুপার ফোরে কোয়ালিফাই করলে খেলতে হবে আরো একটি ম্যাচ। 

এদিকে সবশেষ ২০২০ সালে পাকিস্তান সফর করেছিল টাইগাররা। সে সময়েও দলকে দেয়া হয়েছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা। এবারো তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ৩০ আগস্ট এশিয়া কাপ শুরু হলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে ২৭ আগস্ট থেকেই যা থাকবে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ম্যাচ চলাকালীন ৭ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মীরা থাকবেন স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনসহ পুরো শহর জুড়ে। 
 
এছাড়া দেশটির স্পেশাল কমান্ডো বাহিনীরাও থাকবে মাঠের আশেপাশে। ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকদেরও মাঠে ঢুকতে হবে বেশ কয়েকটি বলয়ের তল্লাশী পেরিয়ে। এশিয়ার মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। এশিয়া কাপে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না বলে আশ্বাস পাকিস্তান প্রশাসনের।
দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস

দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস